কবিরাজির নামে শরীরে ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে ঝাড়ফুক করার সময় এক কিশোরী স্কুল ছাত্রীর শরীর ঝলসে দেওয়া হয়েছে। দগ্ধ হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে নবম শ্রেনীর ওই শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে হরিণাকুন্ডু উপজেলার শুড়া গ্রামে।.
দগ্ধ আয়েশা খাতুন চুয়াডাঙ্গা জেলার কাউন্সিল পাড়ার আরিফুল ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় হরিণাকুন্ডু একটি অভিযোগ দিয়েছে আয়েশা খাতুনের পরিবার। গ্রামবাসি ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, শুড়া গ্রামের ভন্ড কবিরাজ সৈয়দ আলী (৫৫) ও তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজির নামে মানুষকে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছিল।.
বুধবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুনের উপদৃষ্টির ভাব হলে তার পিতা শুড়া গ্রামের কবিরাজ সৈয়দ আলীর কাছে নিয়ে আসে। প্রথমে কবিরাজ ঠান্ডা পানি দিয়ে ঝাড়ফুক করতে থাকে। এতে কাজ না হলে ফুটন্ত গরম পানি শরীরে ঢেলে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই শিক্ষার্থীর পিতা ও তার সঙ্গে আসা মামুন নামে একজনকে পানি পড়া খাইয়ে অজ্ঞান করে আয়েশা খাতুনের উপর শারিরীক নির্যাতিত করতে থাকে।.
জ্ঞান ফিরে দেখি আয়েশা খাতুন চিৎকার চেচামেচি করছে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আয়েশা খাতুনের শারীরিক অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।.
গ্রামবাসির অভিযোগ ভন্ডকবিরাজ সৈয়দ আলী কবিরাজী চিকিৎসার নামে যুবতী নারীদের অজ্ঞান করে পাশবিক নির্যাতন করে। এ বিষয়ে কবিরাজ সৈয়দ আলীর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোন ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কবিরাজ গাঢাকা দিয়েছে।.
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: